মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে জেনে নিন


 মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়

মধু খাওয়ার অনেক নিয়ম থাকলেও নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ১-২ চামচ মধু ১ গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানির সাথে সামান্য পরিমান লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে বিভিন্ন অসুখ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। একই নিয়মে রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে খুব ভালো ঘুম হয়।
মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বিভিন্ন খাবারের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। চিনির পরিবর্তে মধু খেলে চিনির ক্ষতিকারক দিক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

মধু খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত মধু খেলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। মধুতে নানা ধরনের পুষ্টিগুন থাকায় এটি আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করে। যেমনঃ
  • মধু ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
মধুতে কোন ধরনের চর্বি না থাকায় এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমে।
  • হজমের সমস্যা দূর করে
মধুতে যেসকল উপকরন রয়েছে সেগুলো হজম শক্তি বাডাতে সহায়তা কর। প্রতিদিন নিয়ম মেনে মধু খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়।
  •  ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
যেসকল মানুষদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মধু খুবই উপকারি। প্রতিদিন সকালে মধু খেলে
ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • অম্বলের সমস্যা দূর করে
খাঁটি মধু সকাল বেলায় খালি পেটে খেলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয় এবং মুখের টক ভাব দূর হয়। এছাড়াও কয়েকটি তুলশি পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অম্বলের সমস্যা থেকে দ্রূত দূর করে।
  • হৃদরোগের সমস্যা দূর করে
মধু খেলে হৃদপিন্ড ভালো থাকে। মধু ও দারুচিনি একসাথে খেলে হৃদরোগের সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান অনেকটা কমিয়ে দেয়।
  • সর্দি কাশি নিরাময় করে
মধু ও তুলশি পাতার রস একসাথে খেলে সর্দি কাশি নিরাময় হয়। শিশুদের সর্দি কাশি নিরাময়ে মধু খুবই উপকারি।
  • পানিশূন্যতা দূর করে
শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে মধু খেলে পানিশূন্যতা দূর হয়।
  •  রোগ-প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়
মধুতে অনেক গুনাগুন রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মধু খেলে গলার স্বরের সমস্যা দূর হয়, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ধূর হয়,শরীর ও ফুসফুসকে করতে সহায়তা করেে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার দূর করে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, মাথা ব্যাথা কমায়, দেহের শক্তি বাড়ায় ইত্যাদি।

মধু খাওয়ার অপকারিতা

মধুর যেমন অনেক উপকার রয়েছে তেমনই কিছু অপকারিতা রেয়েছে। মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। নিয়ম মেনে মধু খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত মধু খেলে বমি বমি ভাব হয়, গরম লাগতে পারে, শরীরে জ্বালাপোড়া হতে পারে, বৃদ্ধদের বেশি মধু খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।

 ত্বকের যত্নে মধু

  • ত্বকের যত্নে মধুর ব্যবহার অনেক বেশি।
  • মধু ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করে।
  • ত্বক সুন্দর ও মসৃন রাখতে সহায়তা করে।
  • ত্বক হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে।
  • ত্বকের বয়সের ছাপ বলিরেখা ও রোদে পোড়া দাগ কমায়।
  • মধুকে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ও বলা হয়ে থাকে।

ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম

ইসলামে মধু খাওয়াকে অনেক বেশি উৎসাহিত করেছে। আমাদের প্রিয় নবী নিজেও মধু অনেক পছন্দ করতেন। তিনি বলেছেন, "মধুতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ওষুধ আছে যা আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ধীরে ধীরে প্রমাণ করছে।
আল্লাহর হুকুম, রহমত ও কুদরতে মধু প্রতিটি রোগের ওষুধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন : ”...তাতে মানুষের জন্য রয়েছে প্রতিকার।...”( সুরা আন-নাহল,আযাত: ৬৮ ও ৬৯)।
অন্যদিকে বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনার মাধ্যমে জানা যায়,রাসুল (সা.) মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন: তাতে মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার রয়েছে। (সুরা আন-নাহল,
আয়াত: ৬৯)। আর যেকোনো রোগীকে মধু পান করানো হলে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (আল-বাইহাকি, আস-সুনানুল সুগরা, খ.৮,পৃ.৩৪৫, হাদিস: ৩৯৫৮)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩