কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও ব্যবহার বিধি
কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও ব্যবহার এতই যে বলে শেষ করা যাবে না। দেহ সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদের গুরুত্ব অপরিসীম। ভেষজ গুনে ভরা হলুদ যেমন রান্নার কাজে মসলার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে ঠিক তেমন ভাবে রুপচর্চার কাজেও বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কাঁচা হলুদের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলসটি লিখা হলো। তাই কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও ব্যবহার সর্ম্পকে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলসটি সম্পূর্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকাঃ
কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সঠিক তথ্য জানা নেই। আমাদের নিত্যদিনের রান্নার কাজে হলুদের গুরা ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও কাঁচা হলুদ পেটের সমস্যা দূর করে, ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে, ব্রন দূর করে এছাড়াও কাঁচা হলুদ আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।
কাঁচা হলুদের উপকারিতা
কাঁচা হলুদের অনেক গুনাগুন রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে দেহ সুস্থ থাকে র্হাট ভালো থাকে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমায়। এছাড়াও কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমান ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি এবং কারাকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা দেহের বিভিন্ন উপকার করে থাকে।
এছাড়াও কাঁচা হলুদের আরো কিছু এপকার রয়েছে যেমনঃ
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ে।
- ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য কাঁচা হলুদ খুবই উপকারি। কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রন এ থাকে।
- কাঁচা হলুদে গ্যাস্ট্রো-প্রটেক্টিভ কিছু গুন থাকার কারনে পাকস্থলি খাবার সুন্দর বাবে পরিপাক করতে পারে।
কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত
কাঁচা হলুদ দিনের যেকোনো সময় বা বিভিন্ন রান্নার মধ্যে মসলা হিসেবে খাওযা যেতে পারে। তবে কাঁচা হলুদ সকালে খারি পেটে খাওয়া সব চেয়ে বেশি উপকারি। খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে রক্ত পরিস্কার হয় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হাডের ক্ষয় রোধ করে, গ্যাসের সমস্যা দূর করে, এছাড়াও আরো বিভিন্ন ভাবে কাঁচা হলুদ শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে।
কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়
কাঁচা হলুদ রং ফর্সা কারি উপাদান হিসেবে বেশ পরিচিত। ত্বকের রং ফর্সা,উজ্জল ও সজ্জিবিত করতে কাঁচা হলুদের বিকল্প নেই। প্রতিদিন রাতে হলুদ বেটে যদি চোখের নিচে লাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। কাঁচা দুধয়ের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মুখে দিলে তারাতারি ত্বক ফর্সা হয়। এছাড়ও ময়দা কাঁচা হলুদ বাটা মধু ও সামান্য লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মুখে দিলে তারাতাড়ি রং ফর্সা হয়।
ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ
ব্রন দূর করতে কাঁচা হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমাদের মুখে অনেক সময় মাত্রাতিকরিক্ত ব্রন দেখা দেয় যা মুখের সুন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। মুখের সুন্দর্য দরে রাকতে হলে নিচের নিম্ন উপায়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে দিলে ব্রন থেকে চির মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
উপকরনঃ ১।কাঁচা হলুদ ২।মসুর ডাল ৩।মধু ৪।লেবুর রস।
মিশ্রন পদ্ধতিঃ কাঁচা হলুদ ও মসুর ডাল বেটে তার সাথে ১ চামচ রেবুর রস ও সামান্য পরিমান লেবুর রস মিসিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা কখনোই সম্ভব নয়। প্রাচীন কাল থেকেই নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার আমরা কম বেশি সবাই করি। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যবহার এ যেসল উপকার পাওয়া যায় তা হলোঃ-
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করে।
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ শুকিয়ে বড়ি বানিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমে।
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ অ্যালার্জি জনিত সমস্যা, চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
- চুল ও ত্বকের মসৃনতা বজায় রাখতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ অত্যান্ত কার্যকারি উপাদান।
- রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
কাঁচা হলুদ গুড়া করার নিয়ম
- হলুদ ভালো করে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
- হলুদ সিদ্ধ হয়েছে কিনা চামচ দিয়ে কয়েকবার দেখে নিতে হবে।
- সিদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
- ঠান্ডা হয়ে গেলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
- টুকরো করা হলুদ গুলো ২ থেকে ৩ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
- শুকিয়ে খোটখোটা হয়ে গেলে মিক্সিতে ভালো ভাবে গুড়া করে নিতে হবে।
মধু ও কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার উপকারিতা
- মধু ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে মুখের আদ্রতা রক্ষা পাই।
- মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাই।
- মুখের মরা চামড়া দূর হয়।
- মুখের কালচে ভাব দূর করে।
- হলুদ আর বেসন মাখলে কি হয়।
- হলুদ আর বেসন মুখের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।
- হলুদ আর বেসন মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
- হলুদ আর বেসন মুখের ব্রন ও র্যাস দূর করে।
- হলুদ আর বেসন মুখ নরম ও মসৃন করে।
লেখকের মন্তব্য
কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও ব্যবহার সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরি। কাঁচা হলুদের সঠিক ব্যবহার জানলে আমরা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হতে পারব। আমার এই আর্টিকেলসটি সম্পূন্ন কাঁচা হলুদের গুনাগুন ও ব্যবহার সম্পর্কে লিখা হলো। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে সবাই উপকৃত হবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url